Monday, December 25, 2017

রাজনীতি

রাজনীতি হচ্ছে সরকার পরিচালনার নিমিত্তে সমাজের ভিতর থেকে উদ্ভুত বিজ্ঞান ভিত্তিক সংস্কৃতি, যার দ্বারা একটা নির্দিষ্ট সংস্থা বা কর্তৃপক্ষ রাষ্ট্র পরিচালনা করে।
রাজনীতির ইংরেজি “Politics”শব্দটি গ্রীক শব্দ “Politiká: Politika,” থেকে উৎপত্তি। যার সরল অর্থ, নগর বিষয়ক নীতিমালা বা বিষয, যার দ্বারা মানব গোষ্ঠী কর্তৃক পরিচালিত হয় রাষ্ট্র বা রাজ্য। যা সমাজের মানুষের মাঝে আন্ত সম্পর্ক সৃষ্টি করে ও ক্ষমতার ভারসাম্য রক্ষা করে।

রাজনীতির প্রকার সমূহ
১। ডান রাজনীতি
(ক) সাম্রাজ্যবাদ রাজনীতি(খ) পুঁজিবাদ রাজনীতি
(গ) একনায়কতন্ত্র রাজনীতি
(ঘ) সামন্তবাদ রাজনীতি

২। বাম রাজনীতি
(ক) শ্রমিক শ্রেণীর রাজনীতি
(খ) নিপীড়িত মানুষের রাজনীতি
(গ) মৌলবাদ বিরোধী রাজনীতি
(ঘ) সাম্যবাদের রাজনীতি
৩। ধর্ম রাজনীতি
ধর্ম রাজনীতি ভেঙ্গে দেখাতে গেলে আমার চোদ্দো গুষ্টি ঊদ্ধার হবে। তো ইহা জানিতে চাহিয়া আমায় হাসাইবেন না প্লিজ।

কারা রাজনীতি করে?
যারা রাজার নীতি নিয়ে প্রশ্ন করে, আলোচনা করে, সমালোচনা করে তারা সকলেই রাজনীতি করে। কেউ পরোক্ষ ভাবে করে আর কেউ প্রতোক্ষ ভাবে করে। যেমন আপনি প্রশ্ন করেছেন আপনি রাজনীতি করেন সেটা প্রতোক্ষ না হয়ে পরোক্ষ হতে পারে। আবার আমরা যারা আপনার প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছি তারাও রাজনীতি করে। আমরা রাজনীতি না করলে আপনার প্রশ্নের উত্তর লিখছি কেন। যেহেতু রাজনীতি নিয়ে আলোচনা সমালোচনা করি, তার মানে আমরা সকলেই রাজনীতি করি। শিশু ও অতিশয় বৃদ্ধ ছাড়া।
                                                                                                                                                 
ভালো রাজনীতি কখনো বিরক্তি এবং বিড়ম্বনার বিষয় নয়। তাই যদি না হতো তাহলে আমরা লাখ মানুষের রক্ত আর মা বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে স্বাধীনতা লাভ করতে পারতাম কি। যারা আপন স্বার্থ, আশা আকাঙ্ক্ষা বিসর্জন দিয়ে জনকল্যাণার্থে রাজনীতি করেছেন বা এখনও যারা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তাদের দ্বারা এখন আর রাজনীতি সেই অর্থে পরিচালিত হয় না। তাই যারা জনগণের ইচ্ছার বিরুদ্ধে নানা অবৈধ কর্মকাণ্ড ঘটিয়ে রাজনীতিকে বিষময় করে চলেছে তাদের সকলের গলা এই মুহূর্তে টিপে ধরার সময় বলে আমি মনে করি।
কিছু অরাজনৈতিক নেতার কারণে রাজনীতি আর রাজনীতি নেই। আমাদের স্বাধীনতার ইতিহাস বিকৃত হচ্ছে। বাংলাদেশের স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকেও কেউ কেউ রাজাকার বলার সাহস দেখায়। রাজনীতি সঠিক পথে চললে এইসব ব্যক্তি রাজনীতি করার সুযোগ পেত না। রাজনীতি প্রকৃত রাজনীতিকদের হাতে থাকা উচিত।
দেশের রাজনীতিতে এখন কালো মেঘের ছায়া পড়েছে। দেশের উন্নয়নে রাজনীতিকদের সহনশীল হওয়া জরুরি।  যেকোনো দেশের উন্নয়নে সরকারি ও বিরোধী দলের প্রয়োজন রয়েছে। অথচ সেই রাজনীতিতে যদি অস্থিরতা, সহিংসতা ইত্যাদি দেখা দেয় তা গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। সেই রাজনীতি হয় অকল্যাণকর ও অপ্রয়োজনীয়।
রাজনীতি এখন আর সাধারণ মানুষের কল্যাণ বয়ে আনে না। রাজনীতি এখন অন্যরকম হয়ে গেছে, যেখানে ব্যক্তি স্বার্থই প্রধান। ফলে নানা দ্বন্দ্ব আর সংঘাত। তাই সবকিছু ভুলে গিয়ে নিঃস্বার্থভাব রাজনীতিকে লালন করতে হবে।
রাজনীতি আমাদের সব দিয়েছে এ কথা সত্য। ভাষা, স্বাধীনতা ও বিজয় আমরা রাজনীতির মাধ্যমেই পেয়েছি। কিন্তু বর্তমানে রাজনীতি অপরাজনীতিতে পরিণত হয়েছে। এক দল জোরপূর্বক ক্ষমতায় দখল করে আছেন আর অন্য দল জ্বালাও পোড়াওয়ের মাধ্যমে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করে চলেছে।
রাজনীতি খুব ভালো বিষয়। কিন্তু এই ভালোকে যদি টিকিয়ে রাখা না যায় তা হলে রাজনীতি কখনোই মানুষের কল্যাণে আসেনা। তাই রাজনীতি সুন্দর ও স্বচ্ছ করতে হলে প্রয়োজন নিঃস্বার্থ, সত্ ও নিষ্ঠাবান নেতা।
আমরা সত্যিকার অর্থে সুস্থ রাজনীতির চর্চা চাই।গণতন্ত্রের নামে জীবনকে অস্থির ও দুর্বিষহ করে তোলার মতো চরম অগণতান্ত্রিক আচার আচরণের অবসান চাই। আমাদের দেশে রাজনীতির রয়েছে ঐতিহাসিক প্রাক্ষাপট। কিন্তু এখনকার রাজনীতি অসহনীয় ও বিড়ম্বনার কারণ। যা মানুষ পছন্দ করেন না।
শরিফুল হাসান সমাপ্ত

0 Comments:

Post a Comment

Subscribe to Post Comments [Atom]

<< Home